কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হাইকানুকে স্থানীয় বিক্ষব্ধ জনতা লাঞ্ছিতও জুতার মালা পরিয়ে দেয়.।
চৌদ্দগ্রামউপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ২২ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়েদেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ গঠনার পর সংবাদমাধ্যম গুলো কানুকে বীরপ্রতিক দাবী করে সংবাদ পরিবেশন করে (1,2 , 3) । একজন বীর মুক্তিযোদ্বার অবমাননায় দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত এর নিন্দা জানায়। ঘঠনায় অভিযুক্ত হিসেবে দুই জামায়াত সমর্থক কে বহিষ্কার করে জামায়াত।
কিন্তু অনুসন্ধান করে জানা গেলো, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয়কমিটির সদস্য আব্দুল হাই কানু আসলে বীরপ্রতিক নয়। সরকারি বীরপ্রতিক তালিকায় আব্দুল হাই কানুর তথ্য পাওয়া যায়নি ।
তালিকা দেখুন এখানে।
মূলত , একই নামে (আবদুল হাই, খেতাবের সনদ নম্বর ৩৬২) অবশ্য কুড়িগ্রামে একজন বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন। এটা থেকেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।
কানু কেন হামলার স্বীকার হয়েছিলো?
পুলিশও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতারজের হিসেবে তাকে জুতার মালাপরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
২০০৮সালে স্থানীয় কুলিয়ারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন চলাকালীন স্থানীয় আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তিকেমারধর করেন আলোচিত আওয়ামীনেতা কানু। শুধু তাই নয়, এই মুক্তিযোদ্ধা ওই ব্যক্তিকে টেনেনিয়ে পানিতে ফেলে অপমান-অপদস্তকরেন। চলতি বছর আব্দুলহালিম মারা যান।
জানাযায়, ভাইয়ের ওই অপমানকে কেন্দ্রকরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারা গ্রামের অভিযুক্ত আবুল হাশেম মুক্তিযোদ্ধাকানুকে স্থানীয় বাজারে দেখতে পান গত ২২ডিসেম্বর। এরপর তাকে জোরপূর্বকধরে সেই কুলিয়ারা সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এনে স্থানীয় লোকজনেরসামনে তাকে লাঞ্ছিত করাহয়। এ সময় উপস্থিতলোকজন ঘটনার ভিডিও ধারন করে সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলে তা ভাইরালহয়।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা কানুর বিরুদ্ধে হত্যা, তথ্য প্রযুক্তি, মারামারিও রাজনৈতিকসহ অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে।
আবদুলহাই কানু শুধু বিএনপি-জামায়াত না হাসিনার শাসনামলেআ.লীগের প্রতিপক্ষ নেতাদের কাছেও আতঙ্কের নাম ছিলেন। ২০১৬সালে চৌদ্দগ্রামের লুদিয়ারা বাজারে এই কানু ওতার ছেলে বিপ্লব আওয়ামীলীগ নেতা আবু বকরসিদ্দিককে হত্যা করে। অভিযোগ আছেআব্দুল হাই কানু উপজেলাযুবলীগ নেতা মো. শাহীনহত্যার সাথে সরাসরি জড়িতছিলো।
খুন, চাঁদাবাজী, প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতনেরঅভিযোগে আবদুল হাই কানু টানাকয়েক বছর জেল খেটেছেন।৫ আগস্ট হাসিনা পালানোর কিছুদিন আগে জেল থেকেছাড়া পেয়েছে।